প্রথম ভাষা ইংরেজি নয় এমন ১০০টি দেশের ২৩ লাখ মানুষের ওপর জরিপ চালিয়ে ইংরেজি দক্ষতা পরিমাপ করেছে তারা। প্রাপ্ত স্কোরের ভিত্তিতে দেশগুলোকে অতি উচ্চ, উচ্চ, মধ্যম, নিম্ন ও খুবই নিম্ন দক্ষ—এ পাঁচ স্তরে ভাগ করা হয়েছে।
৪৮ দশমিক ১১ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশ রয়েছে তালিকার একাত্তরতম স্থানে, দক্ষতার শ্রেণি হিসেবে যা খুবই নিম্ন। এবারের সূচকে স্কোরে আগের চেয়ে পিছিয়েছে বাংলাদেশ। ২০১৮ সালের সূচকে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৪৮ দশমিক ৭২।
পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত বাংলাদেশ থেকে দুই স্তর উপরে মধ্যম মানে রয়েছে। তালিকায় ৩৪তম অবস্থানে থাকা ভারতের স্কোর ৫৫ দশমিক ৪৯। তালিকায় বাংলাদেশের চেয়ে চার ধাপ এগিয়ে ৬৬তম অবস্থানে রয়েছে নেপাল। নিম্ন স্তরে থাকা দেশটির স্কোর ৪৯।
১১৬টি দেশে কার্যক্রম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানটি ২০১১ সাল থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জনগোষ্ঠীর ইংরেজি দক্ষতা বিষয়ে এই সূচক প্রকাশ করে আসছে। চলতি বছরের সূচকটি এ মাসেই প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
সামাজিক পরিস্থিতির বর্ণনায় সূক্ষ্ম ও যথাযথ ভাষার প্রয়োগ, উচ্চমার্গীয় ইংরেজি রচনা সহজে পড়তে পারা এবং ইংরেজি ভাষা ব্যবহারকারী দেশের স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে চুক্তিতে দর-কষাকষির সক্ষমতা থাকলে জরিপে তাকে অতি উচ্চস্তরের দক্ষতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। প্রধান ভাষা ইংরেজি নয়, এমন দেশগুলোর মধ্যে এ শ্রেণিতে প্রথম দিকে আছে নেদারল্যান্ডস, সিঙ্গাপুর ও সুইডেন।
ইংরেজিতে কর্মস্থলে প্রেজেন্টেশন দেয়া, টিভি শো বুঝতে পারা ও পত্রিকা পড়তে পারাকে উচ্চ দক্ষতা হিসেবে বিবেচনা করেছে ইএফ। দক্ষতার এ শ্রেণিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম হাঙ্গেরি, দক্ষিণ কোরিয়া ও ফিলিপাইন।
ব্যক্তিগত দক্ষতার ক্ষেত্র সংশ্লিষ্ট বৈঠকে অংশগ্রহণ, ইংরেজি গানের কথা বুঝতে পারা ও পরিচিত বিষয়সংশ্লিষ্ট পেশাদার ই-মেইল লেখার সক্ষমতাকে মধ্যম মানের দক্ষতা হিসেবে চিহ্নিত করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এ শ্রেণিতে যেসব দেশ আছে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো চীন, কোস্টারিকা, ফ্রান্স ও ভারত।
পর্যটক হিসেবে ইংরেজি ভাষাভাষী কোনো দেশে সঠিকভাবে পথ চলাচল, সহকর্মীদের সঙ্গে ছোট ছোট আলোচনায় সম্পৃক্ত হওয়া ও ইংরেজিতে পাঠানো সহকর্মীদের সাধারণ ই-মেইল বুঝতে পারলে তাকে নিম্ন দক্ষতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এ শ্রেণির দেশগুলোর মধ্যে আছে বলিভিয়া, পাকিস্তান, রাশিয়া, জাপান ও নেপাল।
আর সাধারণভাবে ইংরেজিতে নিজের পরিচিতি (নাম, বয়স, দেশ ইত্যাদি) তুলে ধরা, সাধারণ চিহ্নগুলো বুঝতে পারা ও বিদেশি অতিথিকে সাধারণ পথনির্দেশনা দেয়ার সক্ষমতাকে অতি নিম্ন স্তরের দক্ষতা হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেছে ইএফ। ইংরেজিতে দক্ষতার এ শ্রেণিতে যেসব দেশ আছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বাংলাদেশ, মালদ্বীপ ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)।